নিজস্ব প্রতিবেদক :: চট্টগ্রামে বিএনপির পদযাত্রা থেকে চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও নেতা-কর্মীদের মারধর করার পর বিএনপির কার্যালয়ে পাল্টা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে নগরের নাসিমন ভবনের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এ হামলা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি নগরের লালখান বাজার হয়ে দেওয়ানহাট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পদযাত্রার সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে লালখান বাজার এলাকায় মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় লাঠিসোঁটা নিয়ে নির্বাচনী কার্যালয়ে থাকা নেতা–কর্মীদের মারধর ও পুলিশের গাড়িসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের কথা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের পর কিছু বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মী জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে নাসিমন ভবনে গিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের ফটকে ভাঙচুর করে। এসময় পুলিশ উপস্থিত হয়ে সেখান থেকে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সরিয়ে দেন। তারা কার্যালয়ের ভিতরে ভাঙচুর করতে পারেনি পুলিশের জন্য। কার্যালয়ের ফটকে থাকা ব্যানার ফেস্টুন ছিড়া ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে কোনো নেতা–কর্মী ছিলেন না। পরে পুলিশ কার্যালয়টি ঘিরে রেখে উক্ত স্থানের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
ঘটনার পর পর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, এসময় তিনি বিএনপির পদযাত্রা থেকে নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও নেতা-কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ তুলেন। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এই ঘটনার তিনি সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান। সংবাদ সম্মেলনে নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল জানান, বিএনপির এই হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল বিকেল ৩ টায় প্রতিবাদ সমাবেশ করবে আওয়ামীলীগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর বিএনপির আহবায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন জানান, এটা একটা সাজানো নাটক। আমরা নুর আহমদ সড়ক থেকে দেওয়ান হাট পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করেছি। আমাদের যাত্রাপদে দারুল ফজল মার্কেট আওয়ামী লীগের অফিস ছিল, কই একটা ঢিলও তো আমাদের কর্মীরা মারেনি। বাচ্চুর অফিসের ঘটনাটা হলো, আমাদের পদযাত্রা শেষ করে যখন নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিয়ে বাসায় ফিরছিলো তখন তার কার্যালয় থেকেই আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। এমন কি, গাড়ি নিয়ে ফেরার পথে গাড়ি থেকে নামিয়ে পেটানো হয় অনেককে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে, তারমধ্যে বায়েজিদের যুবদল নেতা ইসমাঈলের অবস্থা গুরুতর। তার পায়ের টিবিয়া ফিবুলা ভেঙে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা- একটা পার্টির অফিসে কীভাবে হামলা হয়। এটা তো ন্যাক্বরজনক ঘটনা। পার্টি অফিসের সব কিছু তছনছ করে ফেলেছে তারা। নথিপত্র ও কম্পিউটার নিয়ে গেছে। এই হামলার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার বিকেল ৩টায় প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে।
পাঠকের মতামত: